সাভারে বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করার ঘটনায় গ্রেপ্তার মেয়ে জান্নাতুল জাহান শিফা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা সুলতানা সুইটির আদালতে শিফার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (৯ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বিশ্ব কুমার দেব নাথ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আবদুস সাত্তার তার মেয়ের মায়ের (তৃতীয় স্ত্রী) মৃত্যুর পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে শিফা নাটোরের একটি আদালতে বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বাবা মেয়ের ওপর মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন এবং পাল্টা চুরির মামলা করেন।
একপর্যায়ে সাভারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আবদুস সাত্তার বসবাস শুরু করেন এবং চলতি বছরের শুরুতে শিফাও সেখানে গিয়ে ওঠেন। সেখানেই প্রায়ই তাদের মধ্যে মামলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হতো।
শিফা জবানবন্দিতে জানান, গত বুধবার রাতে তিনি খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাওয়ান। পরে ভোররাতে তিনি বাবার শরীরে একাধিকবার ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার পরপরই তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানান।
পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।